দুইটি মামলায় আদালতে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান না করা ও দফায় দফায় আদালতের নির্দেশনা অমান্য করায় যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশকে শোকজ করেছেন আদালত। রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া ওই দুই মামলার নির্ধারিত দিনে এ আদেশ দেন। আগামি ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানে বিলম্বের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ওই আদেশের অনুলিপি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোর বরাবর পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর আদালতে একটি মামলা করেন রেলরোড এলাকার রহিমা বেগম। মামলাটি তদন্ত করে তৎকালীন পৌর মেয়রকে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর এ মামলার ১৫টি ধার্য তারিখ পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেননি তদন্ত কর্মকর্তা পৌর মেয়র। সর্বশেষ গত ৩১ জানুয়ারি বর্তমান পৌরমেয়রকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন আদালত। কিন্তু আজও পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল কিংবা এ সংক্রান্ত কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করেননি। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করায় তাকে শোকজ করা হয়েছে।
একইভাবে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকার মির্জা মহব্বত আলী আদালতে একটি প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন। বিচারক একইভাবে মামলাটি তদন্ত করে তৎকালীন পৌর মেয়রকে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর এ মামলার ১৫টি ধার্য তারিখ পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেননি তদন্ত কর্মকর্তা পৌর মেয়র। এক পর্যায় গত ৩১ জানুয়ারি একই ভাবে বর্তমান পৌর মেয়রকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন আদালত। কিন্তু আজও পর্যন্ত তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল কিংবা এ সংক্রান্ত কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করেননি কিংবা আদালতে হাজির হননি। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করায় এ মামলায়ও তাকে শোকজ করা হয়েছে।
এছাড়া এবার তিনি যদি শোকজের জবাব না দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।