অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ মারা গেছেন। হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার দুপুরে তার বাবাকে ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ল্যাবএইডের জনসংযোগ কর্মকর্তা চৌধুরী মেহের-ই-খোদা বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে উপদেষ্টাকে বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালেরে আনা হয়। ৩টা ৩৫ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
“উপদেষ্টা দুপুরে ভাত খাওয়ার সময় চেয়ার থেকে পড়ে যান। এরপর তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তাকে মৃত অবস্থাই হাসপাতালে আনা হয়েছিল” বলেন মেহের।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট গঠিত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে ৮৩ বছর বয়সী হাসান আরিফকে প্রথমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ২৭ আগস্ট তিনি ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ এ নিয়ে দুই বার উপদেষ্টা হন। তিনি এর আগে ২০০৭ সালে গঠিত ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারেও ছিলেন। ২০০৮ সলে তিনি দায়িত্ব পান আইন, ধর্ম ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের। ১৯৪১ সালের ১০ জুলাই হাসান আরিফের জন্ম হয় কলকাতায়। তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক এবং পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি করেন।
হাসান আরিফ ১৯৭০ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন। তিনি ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হাসান আরিফ কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৬৭ সালে কলকাতা হাই কোর্টে। এই আইনজীবী ১৯৭০ সালে ঢাকায় এসে হাই কোর্টে কাজ শুরু করেন। তিনি ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।
হাসান আরিফ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে আছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন লিমিটেড ও গ্রামীণফোন বাংলাদেশ।
তিনি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কমপ্লেক্সের উপদেষ্টাও ছিলেন।