আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে চীনের বাজারে বাংলাদেশি শতভাগ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। উদার এবং একতরফাভাবে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য চীন তার বাজার উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাংলাদেশ এই সুবিধা পাবে। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত একটি দেশ। বর্তমানে চীনের বাজারে বাংলাদেশি ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে।
ঢাকায় অবস্থিত চীনের দূতাবাস সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিঙ বেইজিংয়ে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতামূলক সামিটে ঘোষণা দেন যে চীন স্বেচ্ছায় এবং একতরফাভাবে দেশটির বাজার উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেন। এই ধারাবাহিকতায় স্বল্পোন্নত যে সকল দেশগুলোর সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে সেসব দেশগুলো চীনের বাজারে শূণ্য শুল্কে শতভাগ পণ্য রফতানির সুযোগ পাবে। গত ১১ সেপ্টেম্বর চীনের শুল্ক বিভাগ ঘোষণা দিয়েছে যে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলো চীনের বাজারে শুণ্য শুল্কে পণ্য পাঠাতে পারবে। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশ হওয়ায় চীনের বাজারে শুণ্য শুল্কে শতভাগ পণ্য পাঠাতে পারবে। যা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
ঢাকার কূটনীতিকরা বলছেন, এর আগে গত ২০২২ সালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে এসে টেরিফ লাইন (শুল্কমুক্ত পণ্য রফতানি) ৯৮ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলেছিলেন। এবার তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের বাজারে বাংলাদেশের আম রফতানির সকল প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। সামনের মৌসুম থেকে বেইজিংয়ে আম রফতানি শুরু করতে পারবে ঢাকা। আমের পাশাপাশি কাঠাল, পেয়ারাসহ বেশকিছু বাংলাদেশি ফল চীনের বাজারে রফতানি করার কাজ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও দুই দেশের বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি পণ্যের প্রবেশিধারের অনুমতি চীনের বাজারে চেয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।