চৌগাছার হুদাপাড়ার মানসিক প্রতিবন্ধী আলী হোসেন হত্যার মামলার আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিহতের পরিবারকে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে আসামিরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হয়রানি করছে মিথ্যা মামলা দিয়ে। বর্তমানে আসামিদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নিহতের পরিবার। শনিরবার প্রেসক্লাব যশোরে শহিদ সাংবাদিক আরএম সাইফুল আলম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের মা নুর জাহান বেগম ও মেয়ে ফাতেমা খাতুন।
লিখিত অভিযোগে সাইফুল ইসলাম বলেন, তার ভাই আলী হোসেন মানসিক প্রতিবন্ধী। রাস্তা-ঘাটে, দোকানে আলী হোসেনকে লোকজন বিভিন্ন ঠাট্টা মসকরা করে খেপিয়ে তুলতো। গত ২৭ জুলাই একই গ্রামের আশরাফ আলী ঠাট্টা মসকরা করায় আলী হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ দিন সন্ধ্যায় গ্রামের জালাল হোসেনের বাড়ির সামনে পেয়ে আশরাফ হোসেন ও তার লোকজন তার উপর হামলা করে। হামলাকারীরা আলী হোসেনকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত আলী হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
তিনি বলেন, আলী হোসেন হত্যার ঘটনায় সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল মালেক আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে হত্যার মুলপরিকল্পনাকারী হারুন অর রশীদ। আসামিরা এখন মামলা প্রত্যাহার করে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। গত ৬ অক্টোবর রাতে হারুনের সাথে দেখা হলে মামলা তুলে না নেয়ায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। হারুনের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হারুন লাঠি আনতে গিয়ে পড়ে আহত হয়। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে হারুনের শ্যালক হাসিবুল বাদী হয়ে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে। তিনি হরুনকে এ মামলায় অন্তভুক্ত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।