মোটা অংকের অর্থের লেনদেন করে নিয়োগ পরিক্ষার আগেই প্রার্থী চুড়ান্ত হয়েছে বাঘারপাড়ার একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে। ঐ প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল শুক্রবার পাঁচটি পদে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ সকালে সরেজমিনে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে পার্শবর্তী এক প্রতিষ্ঠানের প্রধান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থীদের নিয়ে সব কিছুর রিহার্সেল চলছে। ছাইবাড়িয়া সুখদেবনগর আরাজী জামদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ বিষয়টি জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
২০০১ সালে উপজেলার দোহাকুলা ইউনের ছাইবাড়িয়া গ্রামে সিএসএ নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের বিধি অনুযায়ি সংক্ষিপ্ত নাম বাতিল করে পুর্নাঙ্গ নামকরণ করতে হয়েছে। যে কারণে এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমান নাম করণ হয়েছে ছাইবাড়িয়া সুখদেবনগর আরাজী জামদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি নি¤œ মাধ্যমিক হিসাবে এমপিও ভুক্ত হয়েছে। এতে ছয়জন শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারি সরকারি বেতনের অন্তভুক্ত হয়। এ প্রতিষ্ঠনে ছয়টি পদ সৃষ্টি হওয়ায় জনবল নিয়োগের জন্য সম্প্রতি সার্কুলার দেওয়া হয়। সার্কুলার অনুযায়ি অফিস সহায়কের পদে চারজন, পরিচ্ছন্ন কর্মীর পদে চারজন, আয়া পদে পাঁচজন, নৈশ প্রহরী পদে পাঁচজন ও প্রধান শিক্ষকের পদে তিনজন আবেদন করেন। সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদে কোন আবেদন পড়েনি। পাঁচটি পদেরই আজ এ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি হয়েছেন দোহাকুলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদারের স্ত্রী রোকেয়া ইয়াসমিন। তিনি শুধু নামে মাত্রই সভাপতি। বিদ্যালয়ের সব কিছুই দেখভাল করেন চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার। জানাগেছে, আগামীকাল যে পাঁচটি পদের নিয়োগ হবে তার সব কিছুরই সমন্বয় করছেন চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার। পাঁচটি পদের বিপরিতে ৪০ লক্ষ টাকার দফারফা হয়েছে। আগামীকালের নিয়োগ পরিক্ষা কিভাবে হবে আজকে তার রিহার্সেল প্রতিষ্টানে বসেই দিয়ে দিয়েছেন নিয়োগ বোর্ডের এক সদস্য, আবু মোতালেব তরফতার ও প্রধান শিক্ষকের পদ প্রত্যাশি প্রার্থী। নিয়োগ বোর্ডের ঐ সদস্য হচ্ছেন খলশী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ। তিনি আবু মোতালেব তরফদারের আপন ছোট ভাই। ঐ সূত্রের দাবি, পাতানো নিয়োগ বোর্ডে আজ যাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তারা হচ্ছেন, প্রধান শিক্ষক পদে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আখের আলী, অফিস সহায়ক পদে বায়েজিদ, পরিচ্ছন্ন কর্মীর পদে সোয়াইব, আয়া পদে রাশিদা খাতুন ও নৈশ প্রহরী পদে আফরান। প্রধান শিক্ষক পদে বাকি যে দুইজন আবেদন করেছেন তারা আখের আলীকে সহায়তার জন্য আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আখের আলী জানিয়েছেন, আমাদের সব কিছুই চুড়ান্ত হয়ে আছে। বাকি সব কাজ সচ্চতার মাধ্যমে হবে। সভাপতি রোকেয়া ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। দেবর ভাবির নিয়োগ বোর্ডে কতটা সচ্ছুার সাথে কাজ করতে পারবেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় নিয়োগ বোর্ডের সদস্য বাঘারপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশিকুজ্জামানকে। তিনি জানান, ’চেষ্টা করে দেখবো সচ্ছ ভাবে কাজ করার। বাঘারপাড়ায় নতুন এসেছি। লেন দেনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানিনা’।