নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ায় এক যুবককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জাল ভোট দিতে সহযোগিতা করায় ২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৪ পোলিং অফিসারকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হাবিব উল্লাহ সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের মৃত নজিবুল হকের ছেলে। আর আটককৃতরা হলেন- নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মো. তাজুল ইসলাম, মো. কামাল উদ্দিন ও পোলিং অফিসার মো. সোলাইমান সেলিম, কোহিনুর আক্তার, মহিনুল ইসলাম, সাবিনা ইয়াসমিন।
জানা যায়, নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান দায়িত্বরত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন। এ সময় জাল ভোট দেওয়ার সময় আটক হাবিব উল্যাহকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয় এবং সহযোগিতা করায় ২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৪ পোলিং অফিসারকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার গোপাল চন্দ্র রায় বলেন, আমি শুনেছি হাবিব উল্লাহ পুরুষ বুথে ও মহিলা বুথে জাল ভোট দিয়েছে। তারপর বিচারকের কাছে সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। বিচারক সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
অভিযান পরিচালনাকারী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন বলেন, এক যুবককে অর্থদণ্ড এবং ৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারকে নিয়মিত মামলার জন্য সোনাইমুড়ী থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৪ পোলিং অফিসারকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিয়মিত মামলা দিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।