বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু কেন্দ্রে পৌঁছাতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হয়েছে। দেরিতে পৌঁছানো পরীক্ষার্থীদের পুরো সময় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে— এমনটা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রোববার (৩০ জুন) বিকালে রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বৃষ্টির পূর্বাভাস আমলে নিয়ে এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আজকের পরীক্ষা পেছানো হয়নি। বর্ষাকাল এড়াতে আগামী বছর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিল মাসের দিকে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আরও পর্যালোচনা করা যায় কি না তা দেখা হবে। তবে, এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয় নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় বইয়ের মান নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই বছরের মধ্যে মানের বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ২০২৬ সাল থেকে একটি নির্দিষ্ট মানের বই প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। কিছু মুনাফা লোভী মানুষ বইয়ের মান খারাপ করে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি পাপের সমতূল্য।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, সিলেট বিভাগ ব্যতীত এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৯ জন, মাদরাসা বোর্ড থেকে ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪ জন ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ১০ হাজার ১৯জন পরিক্ষার্থী ছিল। এদের মধ্যে প্রথমদিন এইচএসসি পরীক্ষায় ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭১৯ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৭ হাজার ৭৭৪ জন অংশ নিয়েছে। এ সময় ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষার নেয়ার লক্ষ্য রয়েছে। এজন্য দ্রুততম সময়ে নতুন বই দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়েও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। নতুন কারিকুলামে তাড়াহুড়ো করার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।