আজ ৮ এপ্রিল বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও সাহসী কলম সৈনিকদের পথিকৃত প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি ও যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি এবং দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা জীবন চলার পথে ৭২ বছর পূর্ণ করলেন।
১৯৫২ সালের এই দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাদুড়িয়া থানার কলিঙ্গা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। পিতা মরহুম মোকছেদ আলী, মাতা মরহুমা আয়েশা খাতুন। তার পিতা ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত ইংরেজি দৈনিক দ্যা স্টেটস্ম্যান পত্রিকার সহকারী সম্পাদক।
ছাত্রাবস্থাতেই তিনি সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত হন। এ দেশের বরেণ্য সাংবাদিক মরহুম কবি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ও অন্যান্যের সহচার্যে এসে সাংবাদিকতা পেশার প্রতি অনুপ্রাণিত হন। লেখাপড়ার পাশাপাশি মাসিক মুকুল, সাপ্তাহিক গণদাবি ও নতুন দেশ-এ সাংবাদিকতার হাতে খড়ি। পরবর্তীতে পেশা হিসেবে বেছে নেন সাংবাদিকতা। যোগ দেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদ-এর জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক গণকণ্ঠের মফস্বল সম্পাদক (গণকণ্ঠের প্রকাশনা বন্ধ হলে), সাপ্তাহিক সত্যকথা’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। পরবর্তীতে ফিরে আসেন যশোরে। দায়িত্ব নেন দৈনিক ঠিকানার নির্বাহী সম্পাদকের। দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে ১৯৮৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক কল্যাণের সম্পাদনা ও প্রকাশনা শুরু করেন। অদ্যাবধি দৈনিক কল্যাণের প্রকাশনা অব্যাহত রয়েছে। দৈনিক কল্যাণ সম্পাদনা ও প্রকাশনার মতো কঠিন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাকে অনেক প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখিন হতে হয়েছে। তবুও এ পেশা থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। এগিয়ে চলেছেন অবিচলভাবে।
সাংবাদিকতা পেশার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। এই পেশার কৃতিত্বের জন্য জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
পারিবারিক জীবনে একরাম-উদ-দ্দৌলার সহধর্মিনী নিলুফার ইয়াসমিন। একমাত্র পুত্র এহসান-উদ-দৌলা মিথুন দৈনিক কল্যাণ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কন্যা রুবাইয়াত সুলতানা অক্ষর শিশু শিক্ষালয়ের শিক্ষিকা ও সুমাইয়া সুলতানা ঢাকার ইয়েল ইংরেজি স্কুলের শিক্ষিকা। ৭৩তম জন্মদিনে আগামী দিনগুলোতে সুস্থ থেকে পেশাগত জীবনে সাফল্যের জন্য সকলের শুভাশিস ও দোয়া কামনা করেছেন তিনি।