ইজিবাইক, নছিমন, করিমন, আলমসাধু সরকারী ভাবে বন্ধ ঘোষণা থাকা সর্ত্বেও তুলারামপুর হাইওয়ে থানার ওসি শওকত হোসেনের প্রতক্ষ ও পরোক্ষ টোকেনের মাধ্যমে এই মহাসড়কে চলাচল বৈধতা পেয়েছে। বিভিন্ন তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে গত ০৬/০৩/২০২৪ ইং তারিখে হাইওয়ে থাানর ওসি যোগদান করার পর থেকে রাস্তায় বেপরোয়া ভাবে চাঁদা বাজি শুরু করেছে। এই ব্যাপারে একাধিক যান চালক এর সাথে কথা হয়। তারা বলে তিনি প্রতিনিয়ত রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গাড়ীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন।
অথচ অবৈধ যানবহন গুলো আটক করে তাদের মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টোকেনের মাধ্যমে মাসিক চুক্তি গাড়ী প্রতি ৬ শত টাকা নির্ধারন করেন। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য বাজার গুলো যেমন- যশোর-নড়াইল মহাসড়কের ছাতিয়ান তলা, চাড়াভিটা, ধলগা রাস্তার মোড়, ভিটাবল্যা, ভাংগুড়া ও তুলারামপুর বাজার সহ আরো অধিক বাজার গুলোতে সেন্ডিকেট সৃষ্টি করে এদের মাধ্যমে এই ছোট, বড় যানবাহন গুলো টোকেন এর মাধ্যমে তারা নিরাপদভাবে চলাচল করছে।
ওসি শওকত হোসেন যোগদানের পর রাস্তায় এসে যানবাহন চালকদের সাথে অশ্লীল আচারণ করেন। অবৈধ গাড়ীগুলোকে বৈধ্যতা দিয়ে যানচলাচল করার অনুমতি প্রদান করেন। ওসি শওকত হোসেনের সাথে কথা হয় তিনি বলেন, প্রতি মাসে আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে নজরানা দিতে হয়। এ কারণে আমি কাউকে ছাড় দিব না।
রাস্তায় অবৈধ্য গাড়ী চালাতে হলে, আমি যা বলব চালকদের শুনতে হবে অন্যা থায় এদের গাড়ী আটক করে মামলা দিতে বাধ্য হব। এ কারণে অসহায় চালক গুলো কর্মকর্তার কথামত প্রতি মাসে টোকেনের মাধ্যমে গাড়ী চালাতে হাচ্ছে। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের সহকারী আইজিপি শাহাবুদ্দিনের সাথে কথা হয়।
তিনি বলেন ওসি শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যতা প্রমাণিত হইলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে হাইওয়ে পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিলের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন আমরা তাকে থানায় চাঁদাবাজী করতে পাঠাইনি। তার বিরুদ্ধে কোন রকম অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসির অভিযোগ এই ধরনের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে অভিলম্বে বদলীর জন্য সদয় দৃষ্টি আকার্ষণ করছি।