নারী মাদক ব্যবসায়ী ফিরোজা বেগম ফিরুকে যাবজ্জবীন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত।
আজ সোমবার অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ জাকির হোসেন টিপু এক রায়ে এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত ফিরু বড় আচড়া গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ বড়আচড়া এমপি মার্কেটের সামনে থেকে মোস্ত নামে এক ব্যক্তিকে আটক ও তার কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। মোস্তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ফোন দুইটি একটি চুরি মামলার বাদী কামরুজ্জামানের। এরপর মোস্তর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বড়আচড়ার ফিরুর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ফিরুকে আটক ও ট্যাংকের কাথার মধ্যে মোড়ানে তিনটি চোরাই মোবাইল ফোন ও চুরি করে আনা ৬৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়। আরও কিছু আছে কিনা জানতে চাইলে আটক ফিরু অপর একটি কাথার মধ্যে থেকে পলিথিনের প্যাকেট করা ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফিরুকে আটক দেখিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে পোর্ট থানায় মামলা করেন এএসআই মতিয়ার রহমান। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটাক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই বছরের ১২ মার্চ আসামি ফিরুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান।
দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি ফিরোজা বেগম ফিরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদÐের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত ফিরোজা বেগম ফিরু জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাত করয়েছে।