আলোচিত সাইবার আইনে হওয়া স্পিচ অফেন্স বা মুক্তমত প্রকাশ সম্পর্কিত মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া এক হাজার ৩৪০টি মামলার আসামিরা মুক্তি পেতে যাচ্ছেন।
সোমবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সেখানে এটাও বলা হয় যে, মুক্তমত প্রকাশের মামলায় কেউ গ্রেপ্তার থাকলে তাকেও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনে চলতি বছর পর্যন্ত দেশের আটটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোট ৫ হাজার ৮১৮টি মামলা চলমান রয়েছে।
যার মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তমত প্রকাশের কারণে দায়ের হওয়া মামলাগুলোকে ‘স্পিচ অফেন্স’ এবং কম্পিউটার হ্যাকিং বা অন্য কোনও ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতিকে ‘কম্পিউটার অফেন্স’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত মোট ১ হাজার ৩৪০টি মামলা চলমান; যার মধ্যে ৪৬১টি মামলার তদন্ত চলছে এবং ৮৭৯টি মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালগুলোয় বিচারাধীন।
এই মামলাগুলোর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অধীনে ২৭৯টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ৭৮৬টি এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে রয়েছে ২৭৫টি।
সরকার এই স্পিচ অফেন্স-সংক্রান্ত মামলাগুলোই দ্রুত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে বিচারাধীন ৮৭৯টি মামলা আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে। এছাড়া তদন্তের আওতায় থাকা ৪৬১টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
সে হিসেবে, এক হাজার ৩৪০ মামলার আসামিরা দ্রুত অব্যাহতি পাচ্ছেন। তবে এসব মামলায় মোট কতজন আসামি বা কতজনের মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে সে পরিসংখ্যান দেয়নি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।