ফরিদপুরে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরে বন বিভাগে জমা দেয়ার পর আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ পেয়েছেন সেই তিন ব্যক্তি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তিন ব্যাক্তির হাতে পুরস্কারের অর্থের চেক তুলে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ।
পুরস্কার পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন, ফরিদপুর সদরের রেজাউল করিম, আজাদ শেখ ও শাহজাহান খান। পুরস্কারের অর্থের চেক পাওয়া আজাদ শেখ জানান, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। এ সময় তিনি কথা রাখার জন্য জেলা আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদও জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নিয়াজ জামান সজীব বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ওই তিন ব্যাক্তিকে ডেকে তাদের হাতে পুরস্কারের টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। এ সময় তিন জনকে আলাদাভাবে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী ওই তিন ব্যক্তিকে পুরস্কার বাবদ ৫০ হাজার করে মোট দেড় লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের কথা রেখেছে।
প্রসঙ্গত, বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে প্রথমে রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) মারতে পারলে গত ২০ জুন ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক। এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ার একদিন পর গত ২১ জুন জেলা আওয়ামী লীগ ওই ঘোষণা থেকে কিছুটা সরে আসে।
তখন, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেল ভাইপার ধরে বন বিভাগে জমা দেওয়া হলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হব। এ ঘোষণার পর রাসেল ভাইপার জীবিত ধরার জন্য তোড়জোর শুরু হয়ে যায় ফরিদপুর সদরসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে।