1. live@www.chitrarpar.com : news online : news online
  2. info@www.chitrarpar.com : চিত্রারপাড় :
রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :

বাঘারপাড়ায় খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ভুয়া চার্চের নাম দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর গ্রামে খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীর কোন অস্তিত্ব নেই। অথচ এ গ্রামে চার্চ দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ করা হয়েছে। ভাংগুড়া, বোয়ালিয়া, নারিকেলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ৩০ টি এমন ভূয়া চার্চ দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এ আত্মসাৎ চক্রে জড়িত রয়েছে বাঘারপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কথিত খ্রীষ্টান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আগামী বড় দিনেও আরো বেশি চার্চ দেখিয়ে লুটপাটের পায়তারা চালাচ্ছে কথিত ঐ এ্যাসোসিয়েশন।
ঈ্রতি বছরের ২৫ ডিসেম্বর খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড় দিন পালন হয়ে থাকে। দিনটি আড়াম্বরভাবে পালনের জন্য সরকার প্রতিটি চার্চ বা গীর্জায় অনুদান দিয়ে থাকে। বিশ^স্ত সূত্রে জানাগেছে, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে সরকার বাঘারপাড়া উপজেলায় ৪০ টি চার্চের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরে বাঘারপাড়ার কথিত খ্রীষ্টান এ্যাসোসিয়েশন ৪০ টি চার্চের তালিকা প্রদান করে। বাঘারপাড়া উপজেলা ক্রীষ্টান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হচ্ছেন দোহাকুলা ইউনিয়নের ঢেপখালী গ্রামের উত্তম কুমার মন্ডল। ঢেপখালি গ্রামে চার্চ অবদ্যা ন্যাজারিন নামে খ্রীষ্টানদের একটি মিশন রয়েছে। উত্তম এ মিশনারির বেতনভুক্ত একজন কর্মচারি। সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিশ^াস বাঘারপাড়ায় বসবাস করেন না। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়। থাকেন যশোরের রামনগরে। প্রদীপ বিশ^াসের কাজই হচ্ছে বিভিন্ন উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে সর্ম্পক তৈরী করা। আর সে সম্পর্কের সুবাদে বড়দিন উপলক্ষে ভূয়া চার্চের তালিকা তৈরী করে সরকারি বরাদ্দ লোপাট করা।
গত বছরে বাঘারপাড়ায় খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড় দিন উপলক্ষে যে ৪০ টি গীর্জার তালিকা হয়, তার ৭ নম্বর ক্রমীকে জহুরপুর চার্চ অবদ্যা ন্যাজারিন এর নাম রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের সভাপতির নাম দেখানো হয়েছে প্রোহ্লাদ মন্ডলের। কথা হয় প্রোহ্লাদ মন্ডলের সাথে। তিনি জানান, কোন কালেই সে তার নিজ ধর্ম ত্যাগ করে খ্রীষ্টান হননি। এমন কি জহুরপুর গ্রামে কোন খ্রীষ্টান ধর্মের লোক নেই। বড় দিন উপলক্ষে কোন বরাদ্দের প্রশ্নই ওঠে না। দোহাকুলা ইউনিয়নের বহরামপুর চার্চ অবদ্যা ন্যাজারিনের সভাপতি স্মৃতি বিশ^াস জানেন না খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় দিন কবে। স্মৃতি বিশ^াস জানান, তিনি এলজিইডির আওতায় আরইআরএমপি-৩ প্রকল্পের আওতায় রাস্তার কাজ করেন। ঢেপখালি রাস্তার কাজ করার সময় উত্তম মন্ডলের সাথে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মিশনারিতে কয়েকটি অনুষ্ঠানে তিনি গিয়েছেন। উত্তম তাকে ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছে। খ্রীষ্টান হওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। গত বছর তিনি কোন সরকারি বরাদ্দ পাননি। একই ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে চার্চ অবদ্যা ন্যাজারিনের সভাপতির নাম দেখানো হয়েছে স্মৃপতি বিশ^াসের। সরেজমিনে কথা হয় তার সাথে। তিনি খ্রীষ্টান হয়েছেন কিনা জিজ্ঞাসা করাতে আকাশ থেকে পড়েন স্মৃপতি বিশ^াস। তবে কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঢেপখালির উত্তম তার বাড়িতে মাঝে মধ্যে আসতেন এ গ্রামে একটি অনুষ্ঠান করার জন্য। আমি কখনও রাজি হয়নি। আর আমার নাম ব্যবহার করে সরকারি বরাদ্দ তুলে নিয়েছেন। যদি বিষয়টি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে উত্তম ও সংশ্লিষ্টদের শাস্তি হওয়া উচিত। একই ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা আগাপে চার্চের সভাপতির নাম দেখানো হয়েছে আকাশ দাশের। অনেক খোজাঁখুজির পরও এ গ্রামে আকাশ দাসের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অবশেষে তালিকায় দেওয়া মোবইল নম্বরে ফোন দিয়ে জানাযায়, আকাশ দাসের বাড়ি দরাজহাট ইউনিয়নের শেখের হাটখোলার ঋষি পল্লিতে। বড় দিন উপলক্ষে সরকারি বরাদ্দের বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না। নারিকেলবাড়ীয়া গ্রামের টালিথাকুমী চার্চের সভাপতির নাম দেখানো হয়েছে দোহাকুলা ইউনিয়নের গলগলিয়া গ্রামের বৈকন্ঠ সরকারের। তিনি খ্রীষ্ঠান হননি, বরাদ্দ সম্পর্কেও কিছুই জানেন না। বন্দবীলা ইউনিয়নের সাদীপুর টালিথাকুমী চার্চের সভাপতির নাম দেখানো হয়েছে দরাজহাট ইউনিয়নরে দরাজহাট গ্রামের কামনাশীষ বিশ^াসের। তিনি জানান, বছর তিনেক আগে খ্রীষ্টান ধর্মে নাম লিখিয়েছেন। গত বছর কোন বারদ্দ পাননি। ছাতিয়ানতলা আলফা ওমেগা চার্চে সভাপতি ভোলা বারই এর বাড়ি সদর উপজেলার ভায়না গ্রামে। তালিকায় দেওয়া মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, তিনি খ্রীষ্টান হয়েছেন কিনা। এ কথা শুনে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, কোন দুঃখে তিনি খ্রীষ্টান হবেন। কোন বরাদ্দ সম্পর্কে তিনি জানেন না। সরেজমিনে দেখাগেছে, উপরে উল্লেখিত কোন স্থানেই চার্চ বা গীর্জার কোন অস্তিত্ব নেই।
জামদিয়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর টালিথাকুমী চার্চের মনিমালা বিশ^াস, গোড়ানাচের প্রভাষ সরকার, দোগাছির মিতু সরকার, চকেরডাঙ্গার কবিতা বিশ^াসকে তালিকায় উল্লেখ করা হলেও তাদের কোন টাকা দেওয়া হয়নি। তালিকার ছয় নম্বর ক্রমিকে কমলাপুর টালিথাকুমী চার্চের সভাপতি দেখানো হয়েছে স্মৃতি বিশ^াসকে। গত বুধবার তার বাড়িতে যাওয়া হয়। স্মৃতি বিশ^াসকে জিঙ্গাসা করা হয় তিনি খ্রীস্টান হয়েছেন কিনা। এ সময় তিনি তেড়ে আসেন। উত্তেজিত ভাবে পাল্টা প্রশ্ন করেন, কোথায় পেয়েছি এ তথ্য। বিষয়টি বোঝানোর পর তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে আশেপাশের বিশেষ করে নড়াইলের গোয়াখোলা, হাতিয়াড়ায় খ্রীষ্টানদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়া হয়। তার মানে আমি খ্রীষ্টান হয়েছি? আমি আমার নিজ ধর্ম (হিন্দু) পালন করি। তিনি কোন টাকা পাননি।
তালিকায় জামদিয়ার আগাপে চার্চের সভাপতি বিকাশ বিশ^াস। তালিকায় দেওয়া মোবইল নম্বর বন্ধ থাকায় খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। জামদিয়ার ঠাকুর পাড়ার এক বিকাশ বিশ^াসের সন্ধান পাওয়া যায়। তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে জানাগেল তিনি ঢাকায় থাকেন। সে খ্রীষ্টান হবে কোন দুঃখে। অনেক খোঁজাখুজির পর এক বিকাশ বিশ^াসের খোঁজ মিললো জামদিয়ার ঋষি পল্লীতে। তালিকায় দেওয়া মোবাইল নম্বরের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের মিল আছে। এ বিকাশ বিশ^াস জানান, রাস্তায় কাজ করার সুবাধে ঢেপখালির উত্তম মন্ডরের সাথে পরিচয় হয়। কিন্ত তিনি খ্রীষ্টান হননি। সরকারি কোন বরাদ্দও পাননি। তালিকায় দেখানো হয়েছে দরাজহাট ইউনিয়নের লক্ষীপুর আগাপে চার্চের সভাপতি মিহির রায়। অথচ এ গ্রামে মিহির রায় নামে কেউ বসবাস করেন না। এ গ্রামের সবুজ বিশ^াসকে বানানো হয়েছে হাবুল্যা চার্চ অবদ্যা ন্যাজারিনের সভাপতি। শুধুমাত্র সবুজ ও তার স্ত্রী পিয়া বিশ^াস খ্রীষ্ঠান হয়েছেন। তিনি কোন বরাদ্দ পাননি। এ গ্রামে

খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীর আর কোন অস্তিত্ব নেই। তালিকার ৩২ ক্রমিকের হাবুল্যা টালিথাকুমী চার্চের সভাপতি অমিত বিশ^াস, তিনি বা তার পরিবারের কেউ কোনদিন খ্রীষ্টান হননি। বরাদ্দ সম্পর্কে কিছু জানেন না।

দুই বছর আগে মারা গেছেন পুকুরিয়া ভিটা টালিথাকুমী চার্চের সভাপতি সরজিৎ বিশ^াস। তার নামও তালিকায় দেখানো হয়েছে। অথচ সরজিৎ ও তার পরিবারের কেউ কোনদিন খ্রীষ্টন হননি। কালিকাপুরের টালিথাকুমী চার্চের বিমল বিশ^াস, সুকদেবপুরের টালিথাকুমী চার্চের নন্দলাল মল্লিক, আল্লাইপুর টালিথাকুমী চার্চের শিপ্রা রায় কোন কালেই খ্রীষ্টান হননি। শুকদেবপুর আগাপে চার্চের শিপ্রা বিশ^াস নামের অস্তিত্ব নেই।
বাকড়ী’র ম্যাথডিস চার্চের সভাপতি হচ্ছেন টমাস বাড়ৈ। তিনি খুলনার বাসিন্দা। এ চার্চের দায়িত্বে এসেছেন বছর তিনেক হবে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এ চার্চটি হচ্ছে বাঘারপাড়ার সবথেকে পুরাতন চার্চ। এর দায়িত্ব পালন করেন খ্রীষ্টান মিশনারির বেতন ভুক্ত পাদ্রী টমাস বাড়ৈ। তিনি বলেন, গত বড় দিন উপলক্ষে উত্তম কুমার মন্ডল তাকে দুইশ কেজি চালের দাম সম্ভবত ৭/৮ হাজার টাকা দিয়েছিল। একই গ্রামে চার্চ অবদ্যা ন্যাজরিনের সভাপতি চন্দন রায়। কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান কয়েক পুরুষ আগে থেকেই তারা খ্রীষ্ঠন। গত বছর বড় দিন উপলক্ষে ১৮ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। কি ভাবে পেলেন, এমন প্রশ্নে মিহির বলেন এসব বরাদ্দ সম্পর্কে আমি জানি। যে কারণে আমাকে ফাঁকি দিতে পারেননি। তবে মিহিরের বাড়িতে চার্চের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ গ্রামে আরো একটি চার্চ দেখানো হয়েছে। যার সভাপতি ডেভিট বিশ^াস। তিনি পুরাতন খ্রীষ্টান হলেও কোন বরাদ্দ পাননি। বাকড়ীতে আরো একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার নাম দি স্যালভেশন আর্মি চার্চ। এ প্রতিষ্ঠানটিও বেশ পুরাতন। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে রয়েছেন মিশনারি বেতন ভুক্ত বীরবল বাইন। তিনি জানান, গত বছর ২৫ ডিসেম্বরের আগে বাঘারপাড়া থানার ওসির সাথে বাঘারপাড়া খ্রীষ্টান এ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সাথে একটি সভা হয়েছিলো। সেখানে সর্বসাকুল্যে ৮/৯ জন উপস্থিত ছিলো। বাঘারপাড়ায় ৪০টি চার্চের অস্তিত্ব কোথায় তিনি তা জানেন না। বীরবল বাইন আরো জানান, কোন চার্চের নামে যদি জমি না থাকে তাহলে সেখানে চার্চ প্রতিষ্ঠা হবে না। অবশ্যই সেখানে আলাদা প্রার্থনা ঘর থাকতে হবে। আর ঐ প্রতিষ্ঠানের আশে পাশে অবশ্যই খ্রীষ্টান ধর্মে বিশ^াসী কিছু মানুষ থাকতে হবে। এক গ্রামে একা খ্রীস্টান হয়ে চার্চ বানানো যাবে না। আমার জানা মতে বাঘারপাড়ার তিনটি প্রতিষ্ঠান বাদে বাকি সবই ভুয়া। আর কিভাবে বাঘারপাড়ায় খ্রীষ্টান এ্যাসোসিয়েশন হয়েছে তাও বীরবল বাইন জানেন না।
একটি সূত্র জানিয়েছে, বাঘারপাাড়ার খ্রীষ্টান এ্যাসোসিয়েশন উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদের কাছে তালিকা দেওয়ার পর তিনি কৌশলে মাঠ পর্যায়ে তদন্তে নামেন। তদন্তে তিনি বুঝতে পারেন তালিকার ৩৭ টি চার্চই ভূয়া। তখন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উত্তম কুমার মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিশ^াসের সাথে ভাগাভাগির চুক্তিতে সব কিছু চড়ান্ত করেন। আর এ ভাগাভাগির প্রধান অংশিদার হচ্ছেন বাঘারপাড়ার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনেয়ারা তান্নি।
এ প্রতিবেদক মাঠ পর্যায়ে বিষয়টির অনিয়ম খুজঁতে অনুসন্ধান করছেন এ সংবাদ শুনে এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছুটে আসেন প্রতিবেদকের কাছে। বিভিন্ন কথা প্রসঙ্গে ও মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধান তাদের সামনে তুলে ধরলে উভয়ই সহজভাবে সত্যটা প্রকাশ করেন।
বাঘারপাড়া খ্রীষ্টান এ্যাসোসিয়েশনের কথিত সভাপতি উত্তম কুমার মন্ডল জানান, গত ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই আমারা বাঘারপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদের কাছে চার্চের তালিকা জমা দিই। কয়েকদিন পরে তিনি আমাদের তার কার্যালয়ে ডাকেন। এরপর তিনি খোলামেলাভাবেই প্রস্তাব দেন, প্রকৃত সাতটি চার্চ বাদে বাকিগুলোর বরাদ্দ আধাআধি ভাগ হবে। তা না হলে নির্বাহী অফিসার সাতটির চার্চের বেশি বরাদ্দ দিবেন না। এ প্রস্তাবে আমরা জারি হই।
সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিশ^াস বলেন, ’প্রস্তাবে রাজি হওয়া পর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমতিয়াক আহমেদ বলেন, প্রথম কাজ হবে তালিক্ াথেকে পাঁচটা বাদ দেওয়া। বাকি ৩৫ টির প্রকৃত সাতটি বাদ দিলে যে ২৮টি থাকবে তা সমান ভাগে ভাগ হবে। এতে আমারা রাজি হয়ে ২১টি চার্চের প্রতিটি ১৯ হাজার টাকা হিসাবে আমারা তিন লক্ষ নিরানব্বই হাজার টাকা গ্রহন করি। বাকিটা ইশতিয়াক আহমেদ নির্বাহী অফিসারের কথা বলে রেখে দেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর যশোরের জেলা প্রশাসক আটটি উপজেলায় একশত আটাশিটি চার্চের জন্য ৯৪ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে বাঘারপাড়ার ৪০ টি চার্চের নামে বরাদ্দ হয় ২০ মেট্রিক টন। বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা তান্নি ২১ ডিসেম্বর ৩৫ টি চার্চের বিপরিতে সাড়ে সতের মেট্রিক টন চাল বরাদ্দের জন্য বাঘারপাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে পত্র প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পত্রে উল্লেখ করেন ৪০ টি গীর্জার মধ্যে এ বছর পাঁচটি গীর্জায় শুভ বড় দিন পালন হচ্ছে না। ঐ সূত্রের দাবি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ নিজেই প্রতি টন চাল ৪০ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেন। যার মোট মূল্য সাত লক্ষ টাকা। এর মধ্যে এ্যাসোসিয়শনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দেন তিন লক্ষ নিরানব্বই হাজার টাকা। বাকি বাকি তিন লক্ষ এক হাজার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ ও নির্বাহী অফিসার হোসনেয়ারা তান্নি ভাগাভাগি করেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমতিয়াক আহমেদ এ অনিয়মের বিষয়ে জানিয়েছেন, সরেজমিনে ৪০ চার্চেরই সচিত্র প্রতিবেদন নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা তান্নিকে দেওয়া হয়। তাকে বলা হয় বাস্তবে সাতটি চার্চের মোটামুটি অস্তিত্ব আছে। বাকি সিদ্ধান্ত তার উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে নির্বাহী অফিসার নিজেই সরাসরি কথা বলেন। এরপর তিনিই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে ৩৫ টি চার্চের বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দেন। আমি নীতিগতভাবে সাতটিতে দেওয়ার পক্ষে ছিলাম। কোন পাঁটটি চার্চ বাদ দিয়েছেন তা নির্বাহী অফিসারই জানেন। এখনও পর্যন্ত খ্রীষ্টান এ্যাসোসিয়েশন কোন মাষ্টার রোল জমা দেয়নি। ভাগাভাগির বিষয়টি ইশতিয়াক আহমেদ এড়িয়ে যান।
সাবেক বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনেয়ারা আরা তান্নি বর্তমান খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় কর্মরত আছেন। মুঠোফোনে (০১৩২২৮৭৫৫৩১) যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট