যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের চাড়াভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সময়মত আসেন না বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। দেরিতে এসেও চায়ের দোকানে আড্ডা দেন ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিজেই আসেন দেরিতে। যে কারণে তিনি অন্য শিক্ষকদের চাপ সৃষ্টি করেন না। উপজেলা শিক্ষা অফিস সব জেনেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, চাড়াভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস রুমের তালা খুলছে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। কিছু শিক্ষার্থী বারান্দায় যে যার মতো খেলছে। তাদের শিক্ষকদের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, কয়েক স্যার সময়মত আসলেও হেড ম্যাডাম আসেন ১১ টার পরে। প্রতিদিন সকালে স্কুলে আসার পর তারা শিক্ষক না আশা পর্যন্ত বিভিন্ন খেলাধূলা করেন। পরে ক্লাস শুরু হলে ক্লাসে অংশ নেয়। সকাল ৯ টার মধ্যে সকল সহকারী শিক্ষক আসলেও প্রধান শিক্ষক রউশন আরা ও সহকারী শিক্ষক আনিসুর রহমান আসেন বেলা ১১ টায় । প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক আনিসুর রহমান যাওয়া আসা করেন তাদের ইচ্ছে মতো। এসব বিষয়ে তাদের কাছে কেউ কিছু প্রশ্ন করার সাহস পাননা। উল্টো তাদের বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দিলে তাদেরই পড়তে হয় বিপদে। আনিসুর রহমান বাঘারপাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক অংশের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ কারণে তিনি বিগত দিনে খেয়াল খুশিমত বিদ্যালয়ে এসেছেন। এখনও তিনি একইভাবে চলছেন। প্রতিনিয়ত তিনি দেরিতে বিদ্যালয়ে এসে একটি ক্লাস নিয়েই বাজারে চলে যান। চায়ের দোকানে আড্ডা দেন ঘন্টার পার ঘন্টা। প্রায়ই সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পয়সায় পান খান, এমন অবিযোগও রয়েছে। দেরিতে স্কুলে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক রউশন আরা বলেন, আমি শারিরিক ভাবে অসুস্থ। যে কারণে বিদ্যালয়ে আসতে কোন কোনদিন দেরি হয়। বিষয়টি আমার উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ জানেন।
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইসমত আরা পারভীন, শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে। নির্ধারিত সময়ে যদি কেউ ক্লাস শুরু না করেন এবং কেউ যদি বিলম্বে স্কুলে আসেন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । ক্লাসটার এটিও জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি চাড়াভিটা স্কুলের ক্লাসটার হিসাবে অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে আছি। চাড়াভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যদি কোন অনিয়ম হয় অবশ্যই তার ব্যবস্থা নিবো।