বারবার একই অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন বাঘারপাড়ার হুলিহট্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হোসেন। সুযোগ পেলেই তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। গত রবিবার এ বিষয়ে ঐ এলাকার অভিভাবকরা নাজমুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেছেন। শিক্ষা অফিস বিষয়টির তদন্ত করেছে।
এলাকাবাসি ও কয়েকজন প্রাথমিক শিক্ষককের কাছ থেকে জানাগেছে, হুলিহট্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হোসেন এক সময় প্রেমচারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সেখানেও একই ঘটনায় অভিযুক্ত হন। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসির চাপে সে সময় নাজমুল হোসেনকে প্রেমচারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। এখানেও সে একই কাজে লিপ্ত হয়। প্রায়ই নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। গত রবিবার এ বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা একট্রা হয়ে এর প্রতিবাদ করে। এ সময় নাজমুল ইসলাম বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যান। বাঘারপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিস সংবাদ পেয়ে তদন্তে পাঠান সহকারি শিক্ষা অফিসার এসএম নুর-এ-এলাহীকে। তিনি ঘটনাস্থলে পৌছালে উপস্থিত কয়েকজন অভিভাবক তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, সুযোগ পেলেই লম্পট শিক্ষক নাজমুল তাদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী জানায়, একদিন তাকে একা পেয়ে দরজা বন্ধ করে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে।
এ বিষয়ে সহকারি শিক্ষা অফিসার এসএম নুর-এ-এলাহী জানিয়েছেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এলাকার অশান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষক নাজমুল ইসলামকে চারদিনের নৈমিত্তিক ছুটি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি যশোর জেলা ও বাঘারপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, ’ আমি পরিস্থিতির শিকার। শিক্ষার্থীদের আমি একটু বেশি আদর-টাদর করি। যা আমার জন্য ভুল হয়েছে।
জহুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু কুরুচিপূর্ণ লম্পট শিক্ষক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।