কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। বৃষ্টির কারণে যশোরে বাজারে কমেছে সবজির সরবরাহ, ফলে দামে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। একটি-দুটি সবজি ছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব সবজিরই দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শুক্রবার যশোর শহরের বড় বাজার, পুরাতন চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও রেল বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেল। অন্য দিকে বাজারে আসা নতুন মৌসুমি সবজির দামও অনেক চড়া।
শুক্রবার শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির ডালি সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা। হরেক রকমের সবজিতে ভরপুর কাঁচা বাজার। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু পণ্যেও দামের রদবদল দেখা গেছে। বাজারের অধিকাংশ সবজির দাম উর্ধমুখী। সবজির দাম তুলনামূলক বেশি থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতাদের মাঝে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা, আমড়া ৫০ টাকা, পুঁইশাক ৩৫ টাকা, কলা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, উস্তে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ১১০-১১৫ টাকা, রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, শুকনো মরিচ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, আলু ৫০-৫৫ টাকা, লাউ ৬০ টাকা(পিচ), বেগুন ১৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা, গাজর ১৭০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, লাল শাক ২৫ টাকা( আটি), পালন শাক ৪০ টাকা(আটি), মেচড়ি ১০০ টাকা, কুশি ৭০ টাকা, ক্যাপসিক্যাপ ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ডিম ৫২ টাকা হালি, প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭শ টাকা, ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১শ ৫০ টাকা, জাত ভেদে মুরগির মাংস ১৭০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড় বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা সুকুমার কুমার রায় বলেন, দুই এক দিনের ব্যবধানে বেগুনরে দাম ডাবল হয়ে গেছে। অনেক সবজির দাম বেড়েছে। মোকামে সবজির আমদানি কম। বর্ষা, বন্যায় সবজির ক্ষেত, সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাঁচা মালের সরবরাহ কম থাকলে দাম বাড়ে। বৃষ্টির কারণে এখন পাইকারি কম মাল কিনে বিক্রি করে ফেলতে হচ্ছে।
তামিম হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, দুই একদিনের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম অনেক বেড়েছে। বেগুন, শিম ঝালসহ কয়েকটা কাঁচা সবজির দাম বাড়তি। নতুন তরকারি উঠলে সেটার দাম সবার কেনার সাধ্যের মধ্যে থাকছে না।