কোপার ফাইনালে সেরা আকর্ষণ তিনিই। তার খেলা দেখার জন্যই অপেক্ষা করে বসে ছিল গোটা ফুটবল বিশ্ব। অথচ কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীনই কান্নায় ভেঙে পড়লেন লিওনেল মেসি। মাঠ ছাড়তে হল মুখ দুহাতে ঢেকে।
ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে আক্রমণে গিয়েছিলেন মেসি। তবে সেই আক্রমণই কাল হয়ে দাঁড়ালো তার জন্য। ডি-বক্সের ভেতরে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডারদের ড্রিবলিং করে বল নিয়ে আগানোর চেষ্টা করছিলেন মেসি। শেষ পর্যন্ত আর লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় মাঠের বাইরে। ততক্ষণে মেসিকে ফাউল করে বসেন সান্তিয়াগো অ্যারিয়েস। প্রচণ্ড চোটে কাতরাতে থাকেন মেসি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে মাঠের বাইরে থেকে ছুটে আসেন টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বরতরা।
এর পর চোট নিয়ে আর খেলতে পারেননি মেসি। অসহায় হয়ে বেঞ্চে বসে সতীর্থদেরও অসহায়ত্ব দেখতে বাধ্য হন তিনি। ফাইনালের মতো ম্যাচে খেলতে না পারার কষ্ট যেন নিতে পারছিলেন না এই তরকা। বেঞ্চে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
ততক্ষণে প্রথমার্ধ শেষ, অনেকেই ভেবে নিয়েছিল মেসিকে আর দেখা যাবে না। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আবারও মাঠে দেখা গেল তাকে। কিন্তু সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বল নিয়ে দৌঁড়নোর সময় পায়ের গোড়ালিতে চোট পান মেসি। মাঠে পড়ে কাতরাতে থাকেন ফের। যন্ত্রণা কমাতে স্প্রে করা হয়, তবে তাতে লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাকে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয়। মেসির পরিবর্তে মাঠে নামেন নিকো গঞ্জালেজ। ম্যাচের বয়স তখন ৬৫ মিনিট। ধারাভাষ্যকাররা তখনও বলে চলেছেন, ২৫ মিনিট আগে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের প্রস্থান।
মাঠের বাইরে গিয়ে খেলোয়াড়দের জন্য নির্দিষ্ট বসার জায়গায় মেসিকে দেখা যায় দুহাতে মুখ ঢেকে মাঠ ছাড়ছেন। তারপরই হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। দেশের জার্সিতে তার হয়তো এটাই শেষ কোপা আমেরিকার ম্যাচ। সেই ম্যাচে পুরো সময় মাঠে থাকতে না পারার যন্ত্রণা কাবু করে দিয়েছে মেসিকে। তিনি যখন মাঠ ছাড়েন, দলও সুবিধাজনক জায়গায় ছিল না। স্কোর লাইন ছিলো গোলশূন্য।
উল্লেখ্য, নির্ধারিত সময়ে গোল না হওয়ায় কোপা আমেরিকার ফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। বেঞ্চে বসে উদাস মনে সতীর্থদের জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া মেসির কাছে এই মুহূর্তে কিছুই করার নেই।