সোহাগ হোসেন, মিরপুর গুদারাঘাটের বাসিন্দা। গত বছরের ১৬ অক্টোবর তার ভাই রিজনকে চায়ের দোকান থেকে ধরে নিয়ে যান শাহ আলী থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদুল, সহকারী উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান ও বদরুজ্জামান। পরে ভাইকে ছাড়াতে থানায় যান সোহাগ। সেখানে তাদের মারধর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন সোহাগ। এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেন।
সোহাগ হোসেন জানান, অভিযোগের পর থেকে তার ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, ওই তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। তবে ভয়ে কেউ সরাসরি কথা বলতে চান না।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদুত হাওলাদার জানান, ইতোমধ্যে ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যারা আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবে, তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।
এসব ঘটনায় পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা দিন দিন তলানিতে ঠেকছে বলে অভিমত অপরাধ বিশ্লেষকদের।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, আইনে যেভাবে উল্লেখ আছে, সেই দৃষ্টিতে সকল আপরাধ বা অভিযোগের বিচার করা উচিত। অপরাধী পার পাইয়ে দেয়া ও প্রশ্নবিদ্ধ তদন্তের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে আরও সোচ্চার হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।