মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি নারীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছে একটি চক্র। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। অপহৃত উম্মে রাইজা নামের ওই বাংলাদেশি নারীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া দম্পতি হচ্ছেন মো. শিহাব ও তার স্ত্রী নুপুর সুলতানা। এখন তারা রিমান্ডে রয়েছেন। এ ঘটনায় ‘টিকটকার’ হৃদয় নামে তাদের আরেক সহযোগী পলাতক রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর স্বজন জান্নাতুল নাঈমা গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ের একটি হোটেলে সম্মেলনে বলেন, উম্মে রাইজাকে টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে গিয়ে অপহরণকারী চক্র তাকে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে থেকে অজ্ঞাত একটি স্থানে নিয়ে যায়। এরপর চক্রের মূলহোতা শিহাব মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বাংলাদেশ কমিউনিটির এক নেতার মাধ্যমে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয়া হয়। তখন শিহাব আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে। বাকি টাকা না দিলে উম্মে রাইজাকে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার হুমকিও দেয় শিহাব।
তিনি অভিযোগ করেন, উম্মে রাইজাকে ৪ দিন আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় শিহাব ও তার সহযোগীরা। জান্নাতুল নাঈমার ৫ বছর বয়সী শিশুকেও অপহরণের হুমকি দেয়া হয়। পরে কুয়ালালামপুরের দাংওয়াঙ্গি থানায় জান্নাতুল নাঈমা বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ শিহাব ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনার পর থেকে টিকটকার হৃদয় পলাতক রয়েছেন। তবে সে পলাতক থাকলেও ভুক্তভোগীকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভুক্তভোগী নিরাপত্তা চেয়ে ডাংওয়াঙ্গি থানায় অভিযোগ দায়েরসহ কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।