সরকারি চাকরিতে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের রায় স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত। এ নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে ৪ জুলাই। রোববার (৯ জুন) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে, হাইকোর্টের দেয়া আলোচিত রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়। রোববার (৯ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এই আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত বুধবার (৫ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ঐ রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল হয়।
এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হয়। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র সমাজ’র ব্যানারে ছিলো প্রতিবাদ কর্মসূচি।
তাদের দাবি, রায় প্রদানের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে আমলে নেননি হাইকোর্ট। তাই, আদালতের এই রায়কে প্রত্যাখান করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে।
পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।