যশোরের পদ্মবিলা রেল জংশনের নাম পরিবর্তন করে রাধানগর রেল জংশন করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার পদ্মবিলা রেল জংশন চত্ত্বরে মানববন্ধন হয়। বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসী জানান, পদ্মবিলা রেল জংশনটি রাধানগর গ্রামের মধ্যে অবস্থিত। যার মৌজার নামও রাধানগর। রাধানগর গ্রাম থেকে পদ্মবিলা গ্রামের দূরত্ব সাত কিলোমিটার। রাধানগর গ্রাম বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়িা ইউনিয়নে। আর পদ্মবিলা গ্রাম সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভাঙ্গা দিয়ে ঢাকা-যশোর-খুলনা ট্রেন যাত্রার শুরুতে আরেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ছয় দফা দাবি না মানলে ট্রেন চলাচল বন্ধের হুশিয়ারির মধ্যে এবার রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছে বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের রাধানগরবাসী। সেই রাধানগর গ্রামে তৈরি করা হয়েছে পদ্মবিলা জংশন।
প্রকৃত অর্থে পদ্মবিলা যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম। যার দূরত্ব রাধানগর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার। কিন্তু রাধানগরে প্রতিষ্ঠিত রেলওয়ে স্টেশনের নাম কেন পদ্মবিলা দেয়া হয়েছে এর নেপথ্যে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। নাম পরিবর্তন না করলে প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়ারও হুশিয়ারি দেন তারা। এমনকী তাদের এ ডাকে অংশ নিতে বাঘারপাড়া উপজেলাবাসীও একাট্টা। রাধানগরের মাটিতে পদ্মবিলা জংশন মানিনা, মানবো না। অবিলম্বে পদ্মবিলার নাম বাতিল করতে হবে। জমি অধিগ্রহণের সময় মূলত এই দুনীতি করা হয়েছে। পদ্মবিলা মৌজায় জমির রেট বেশি। রাধানগর মৌজায় সেই তুলনতায় অনেক কম।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এলাকাবাসীর পক্ষে অধ্যাপক আশরাফ আলী, শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, মাওলানা তবিবুর রহমান, শিক্ষক আহসানুল বান্না সুমন, শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বুলবুল, আব্দুল মজিদ, আসাদুজ্জামান বাবলু, শহীদ শিকদার, আব্দুস সালাম বাবুল, মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল বাশার টুকু, হাফিজুর রহমান, আকরাম হোসেন, আনিচুর রহমান, জিল্লুর রহমান, মাহমুদুর রহমান সবুজ, তানরুল কাদিও তরুন, জহির উদ্দিন শাহিন, মহিবুল ইসলাম ও রেজওয়ান হোসেন।
অধ্যাপক আশরাফ আলী ও মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, রাধানগরের সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে রেল বিভাগ। তারা তাদের সম্পদ দিয়েছেন রেল বিভাগকে। কিন্তু তাদের এলাকার নামে স্টেশন না করে করেছে পদ্মবিলার নামে। জমি অধিগ্রহণের সময়েও তাদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে। রাধানগরে জমির শতক নয় হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। পদ্মবিলায় জমির শতক ধরা হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে তাদেরকে ঠকানো হয়েছে।
তাদের দাবি, পদ্মবিলা নাম দেয়ার নেপথ্যে অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাধানগরে জংশন তৈরি করে পদ্মবিলার জমির দাম অর্থাৎ ৭০ হাজার টাকা করে শতক ধরে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তাদের মৌজা অনুযায়ী নয় হাজার টাকা দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এলাকার নামেই করতে হবে স্টেশন। অন্যথায় পদ্মবিলার নামে রাধানগরে জংশন রাখতে দেবেন না তারা।