যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মীর আবু মাউদ ও দুই কর্মচারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ১৫টি ইউনিয়নের ৬০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকরি দেয়ার নামে ১৯ জনের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে আসিফ হোসাইন নামে এক যুবক এই মামলাটি করেছেন। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশ যশোরকে আদেশ দিয়েছেন।
অন্য আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে আহসান আহম্মেদ ও নাটুয়াপাড়া গ্রামের শফিয়ার রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম। বাদী আসিফ হোসাইন একই এলাকার সানতলার নাজির আলীর ছেলে।
বাদী মামলায় জানিয়েছেন, তিনি বেকার যুবক। যশোর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৬০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে অফিস সহায়ক পদে চাকরির প্রলোভন দেখান ডাক্তার মীর আবু মাউদ। আর সহায়তা করেন অপর দুই আসামি। এভাবে ২০ জনের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই ডাক্তার। আর ওই চাকরিতে তাদের বেতন হবে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। আর ওই ৪০ জন ভুক্তভোগী এই মামলার স্বাক্ষী হয়েছেন। ২০২৩ সালের ১০ মে বাদী টাকা দেয়ার পরে অন্যরা পর্যায়ক্রমে ডাক্তার মীর আবু মাউদকে দেন। এভাবে অনেককে বিভিন্ন ইউনিয়নে চাকরি দিলেও বেতন সাড়ে ১০ হাজারের পরিবর্তে দিয়েছে মাত্র ৫ হাজার টাকা। সে কারণে অনেকেই এখন ফেরৎ চাইলেও শেষ পর্যন্ত টাকা দেয়নি। এই ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে।