আগামী ২৯ নভেম্বর শুক্রবার থেকে যশোর উপশহর মারকাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে তিনদিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হচ্ছে। তাবলীগ জামায়াতের দিল্লী নিজাম উদ্দীন মার্কাস মসজিদের আমির হযরত মাওলানা সাদ এর অনুসারীদের আয়োজনে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে এ ইজতেমা শুরু হবে।
ইজতেমা উপলক্ষে প্রায় একশ’ মুসল্লি স্বেচ্ছাশ্রমে মাঠ প্রস্ততিতে কাজ করছেন। মাঠের মধ্যে কেউ প্যান্ডেল তৈরি, কেউবা খিত্তা, আবার কেউ বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনে ব্যস্ত রয়েছেন। আর মাঠের পূর্ব পাশে অনেকেই নলকূপ বসানো, টয়লেট স্থাপনের কাজে ব্যস্ত।
মাঠে কথা হয় কেশবপুুরের সুফলাকাঠি থেকে আসা হাফিজুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, দিনের খেদমতের অংশ হিসেবে তিনি স্বেচ্ছাশ্রমে মাঠ প্রস্তুতির কাজ করছেন। তারমতো প্রায় একশ’জন মুসল্লি একই উপজেলা থেকে এসে ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতির কাজ করছেন। আল্লাহর অশেষ নৈকট্য লাভের আশায় এভাবে প্রতিদিন যশোরের একেকটি উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা স্বেচ্ছাশ্রমে ইজতিমার মাঠ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে, মারকাজ মসজিদের মাঠসহ আশপাশের আরও দুটি মাঠে বিশাল আকৃতির প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে। সুপেয় খাবার পানির জন্য মারকাজ মসজিদের পূর্ব পাশে বসানো হচ্ছে ২০টি নলকূপ। বসানো হচ্ছে বেশ কয়েকটি গভীর নলকূপও। সেখান থেকে মুসল্লিরা সহজে পানি পেতে পারেন তার জন্য পাইপ ও পানির কল স্থাপনের কাজ চলছে। তার পাশেই মুসল্লিদের জন্য দুই শতাধিক টয়লেট বসানোর কাজ চলছে।
ইজতিমার আয়োজক কমিটির প্রধান এসএম ইয়ামিনুর রহমান জানান, এবারের ইজতিমায় যশোরের আটটি উপজেলার ৫০ থেকে ৬০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেবেন। এছাড়া, যশোরের আশপাশের জেলা থেকেও অনেক মুসল্লি অংশ নেবেন। শুক্রবার আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হবে। ওই দিন ইজতেমার মাঠে জুমার নামাজ আদায় করা হবে। জুমার নামাজে সর্ববৃহৎ জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার মাঠের মুসল্লিদের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই এসে জুমার নামাজে অংশ নেবেন।
রোববার বেলা ১০টায় হেদায়েতের বয়ান শেষে আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে যশোর জেলা ইজতেমা শেষ হবে।