1. live@www.chitrarpar.com : news online : news online
  2. info@www.chitrarpar.com : চিত্রারপাড় :
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :

যশোরে বর্ষণে বন্যার রূপ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

গত দুই দিনের বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার রূপ নিয়েছে যশোর শহর। বৃষ্টির পানি ড্রেন ছাপিয়ে রাস্তায় হাঁটু সমান হয়। ডুবে যায় শহরের অন্তত ৩০টি সড়ক। শহরের নিম্নাঞ্চলে বসবাসরতদের ঘরে ঢুকে পড়ে পানি। রান্নাঘর-বসতঘরে পানি উঠে যাওয়ায় রান্না বন্ধ হয়ে যায় অনেক পরিবারের। কেউ হোটেল থেকে খাবার কিনে খেয়েছেন। কেউ শুকনা খাবার খেয়ে এক বেলা পার করেছেন। এ অবস্থায় মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়েছে বিএনপি। প্রায় ৬শ পরিবারকে রান্না করা খাবার পৌছে দিয়েছে।

যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর ফলে শনিবার ও রোববার দিনভর ভারি বর্ষণ হয়েছে যশোরাঞ্চলে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, যশোরে গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) যশোরে ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুধুমাত্র রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহওয়া অফিস মতে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই যশোরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। কখনো ভারী, কখনো হালকা এই বৃষ্টিপাত রোববার রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যায়। বৃষ্টিপাতের এই ধারা আজ থামবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিরামহীন বর্ষণের ফলে শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। টানা ভারী বৃষ্টিপাতে শহর প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে মানুষ পড়েছে মহাদুর্ভোগে। দুর্ভোগে পড়েছেন নি¤œ আয় ও জলাবদ্ধ এলাকার মানুষ। রোববার সকাল থেকে শহর ঘুরে দেখা গেছে, ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে যশোর পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চল। বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের বেজপাড়া, টিবি ক্লিনিকপাড়া, স্টেডিয়ামপাড়া, শংকরপুর, মিশনপাড়া, উপশহর, চাঁচড়া, কারবালা, এমএম কলেজ এলাকা, নাজির শংকরপুর, বকচর, আবরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় ৩০টি সড়ক। এসব সড়কে পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি পানিতে এসব গর্ত দেখা না যাওয়ায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

এর মধ্যে শংকরপুর, বেজপাড়া, খড়কি, এমএম কলেজ এলাকা, কারবালা, স্টেডিয়ামপাড়ার অনেক বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার ড্রেন ছাপিয়ে উপচে পড়া পানি সড়ক পার হয়ে ঘরের মধ্যেও ঢুকে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকায় বসবাসকারীরা। শহরের স্টেডিয়ামপাড়া এলাকার মফিজুল ইসলাম বলেন, বাড়িঘরে পানি উঠেছে। ঘরের ভেতরে হাঁটু পানি। রান্না করার উপায় নেই। পরিবার নিয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছি। টিবি ক্লিনিকপাড়ার ব্যবসায়ী আব্দুল হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে সড়কে হাঁটু পানি জমেছে। সড়কের পাশে ড্রেন থাকলেও আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় পানি উপচে সড়কে প্রবেশ করেছে। সড়কের সেই পানি আবার দোকানে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, সড়ক নিঁচু আর ড্রেন হয়ে গেছে উঁচু। তাই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার সালেহা বেগম বলেন, রান্নাঘরে পানি ঢুকে পড়ায় রান্না হয়নি। বাধ্য হয়ে হোটেল থেকে রান্না করা খাবার ক্রয় করা হয়। রান্না করা খাবার কিনতে আসা রজত আলী বলেন, কি করবো রান্নাঘরে হাঁটু পানি, বাড়িতে খাবার নেই। বৃষ্টির জন্য তো আর বসে থাকলে চলবে না। তাই বাধ্য হয়ে বাজারে এসেছি রান্না করা খাবার কিনতে।

এদিকে, বৃষ্টিতে অসুবিধায় পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। যশোর সরকারি ইনস্টিটিউট প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা অফিসের নির্দেশে রোববারের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বৃষ্টিতে ভিজে একই ছাতার নিচে ৪-৫ জন চলছে বাড়ির দিকে। ভারী বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে রাস্তায় নেই পূর্বের মতো রিকশা-ইজিবাইক।

যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাবাচ্ছুম জানান, সকালে ছাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে রিকশার চাকা গর্তে পড়ে রিকশা উল্টে যায়। এতে স্কুল ড্রেসসহ বই খাতা ভিজে যাওয়ায় বাড়িতে ফিরে এসেছি। আর এক ছাত্রী সাদিয়া আক্তার জানান, বৃষ্টিতে স্কুলে যেতে পারিনি। রাস্তায় হাঁটু সমান পানি বেঁধেছে। স্কুল ড্রেস ভিজে যায়, বই খাতাও ভিজে যাওয়ার মতো অবস্থা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট