যশোর জেলা ও দায়রা জজ এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জিপি ও পিপিসহ ৭৮ জনকে নতুন করে নিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল মোহায়মেনকে সরকারি কৌশুলী (জিপি) এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুকে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে নিয়োগ করা হয়। গত ১৪ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপ-সলিসিটরসানা মোহাম্মদ মারুফ হোসাইনের স্বাক্ষরিত আদেশে এই নিয়োগ দেয়া হয়।
এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর পিপি হয়েছেন আব্দুল লতিফ লতা। এ আদালতের সহকারী পিপি হয়েছেন ডেজিনা ইয়াসমিন। একই সাথে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর পিপি হয়েছে একেএম হাসানুর রহমান আসাদ ও সহকারী পিপি হয়েছেন শাহানারা সুলতানা রিনা। বিশেষ জজ আদালতের পিপি হয়েছেন আমিনুর রহমান ও সহকারী পিপি হয়েছেন আনিছুর রহমান পলাশ। এছাড়া অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী হয়েছেন তিনজন। তারা হলেন, আব্দুর রউফ খান, শহীদুল আলম খান ও মাহমুদা খানম।
অতিরিক্ত পিপি হয়েছেন ১১ জন। তারা হলেন, আজিজুল ইসলাম, সৈয়দ রুহুল কুদ্দুস কচি, আবু মুরাদ, আরিফুল ইসলাম শান্তি, মুজিবুর রহমান, একেএম আকরাম হোসেন, এম নুরুজ্জামান খান, গোলাম মোস্তফা মন্টু, কাজী সেলিম রেজা ময়না, মাহবুবুর রহমান ও এসএম আব্দুর রাজ্জাক।
সরকারি সহকারী নয়জন কৌশুলী হলেন, রেহেনা পারভীন, হাজী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, মফিজুর রহমান কাবিল, আনিছুর রহমান, মজিজুর রহমান, আমিনুর রহমান আমির, এবিএম হাচানুজ্জামান, ইলিয়াস সাদত (শাহাদৎ) ও রফিকুল ইসলাম তাসনিম।
৪৬ জন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হলেন, মুনছুর আলী, সহিদুল ইসলাম, দিলীপ কুমার চন্দ্র, নার্গিস নাহার, সাদেকা খাতুন বিল্লু, এবিএম জাফর আলতাফ, জিএম কামরুজ্জামান ভুট্টো, শওকত আলী পিন্টু, সরদার সেলিম রেজা, রবিউল ইসলাম খোকন, সালাউদ্দীন শরীফ শাকিল, কাহিনা খানম লিলি, মুস্তাকিন মোস্তফা খান, দিনাই ইয়াসমিন, কামরুল হাসান ফারুক, কাজী কামরুল ইসলাম, নূর আলম পান্নু, তাহমিদ আকাশ, সেলিম রেজা, এনামুল আহসান টিটুল, আশেক মাসুক সুমন, ফজলুল হক মধু, শফিউর রহমান, আনজুমানারা মলি, গাজী আব্দুল্লাহ আল আমীন নান্নু, হাজী আনিচুর রহমান মুকুল, মুন্সী আনিসুর রহমান, মৌলুদা পারভিন, মুনছুর অর রশিদ পিংকু, কাজী মশরুর মুশিদ বাপ্পী, মিজানুর রহমান, লিয়াকত আলী চৌধুরী বাবুল, ইলিয়াস তোতা, মকবুল ইসলাম, জুলফিকার আলী, আক্তার হোসেন সিদ্দিকি, গোলাম মোস্তফা-১, কামরুল হাসান সোহেল, আরমান আলী বাবু, আলতাফ হোসেন শেখ, আব্দুল করিম, নাসিম আহমেদ বাবু, শফিকুল ইসলাম, আকবর হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন ও তাজ উদ্দিন আহমাদ।
পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্বে নিয়োগকৃত সকল আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদেরকে স্ব-স্বপদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক উল্লেখিত আইনজীবীদের পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপরে উল্লেখিত পদে নিয়োগ দেয়া হলো।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর (জিপি/পিপি) সানা মোহাম্মদ মারুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত আরেক পত্রে যশোর জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে ২য় বারের মত নিয়োগ দেয়া হয় আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এম ইদ্রিস আলীকে। এছাড়া সরকারি কৌসুলি (জিপি) হিসেবে নিয়োগ পান জাহিদুল ইসলাম সুইট। একই সাথে ৩ জন স্পেশাল পিপি, ১২ জন অতিরিক্ত পিপি ও ৪১ জন এপিপি নিয়োগ দেয়া হয়। এ ছাড়া অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি হিসেবে ৪ জন ও সহকারী সরকারি কৌসুলি হিসেবে আরও ১২ জন নিয়োগ দেয়া হয়। সাত মাসের মাথায় ওই নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।