যশোর চীফ জুডিশিয়াল আদালতের হাজতখানায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছে রেলগেট রায়পাড়ার চিহিৃত মাদক কারবারী প্রিয়া খাতুন, জয় ও এমএম কলেজ সংলগ্ন দক্ষিণ গেট এলাতার শিলা বেগমসহ তাদের একদল অনুসারী। তারা প্রতিপক্ষ একই এলাকার তুহিনের স্ত্রীকে মারধর করে। এ সময় জয় তাকে চাকু মারতে নির্দেশ দেয়। শিলা ওড়না জড়িয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। একজন নারী পুলিশ সদস্য রুম থেকে টেনে বাইরে আনার চেষ্টা করে প্রিয়া খাতুন। তবে তিনি দ্রুত দরজা আটকে দিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন। এরপর প্রিয়া হাজতখানার ক্রপসিকল গেটে লাথি মেরে ভাঙার চেষ্টা করে। একই সময়ে রমজান হত্যা মামলার আসামি সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজা ভেতরে তুহিন নামে এক যুবককে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় সেখানে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। কোতয়ালি থানায় তুহিনের স্ত্রী আখি খাতুনের দায়ের করা অভিযোগে একই কথা বলা হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
থানায় মামলার এজাহারে আখি খাতুন (২২) অভিযোগ করেছেন-খড়কির রমজান হত্যা মামলার আসামি সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজা গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। সেখানে পূর্ব শত্রুতার কারণে রমজান হত্যায় তুহিনকে ফাঁসিয়ে দেয়।
সে দাবি করে রমজান হত্যায় তুহিন জড়িত। যারপ্রেক্ষিতে পুলিশ তুহিনকে গ্রেফতার করে। সেই থেকে কারাগারে রয়েছে। বুধবার আদালতে হাজির করা হবে জেনে তুহিনের স্ত্রী আখি খাতুন দেখা করতে আসেন। এ সময় পিচ্চি রাজার অনুসারী মাদক কারবারী রেলগেট রায়পাড়ার চিহিৃত মাদক কারকারবারী প্রিয়া খাতুন (২৫),একই এলাকার জয় (১৮) ও এমএম কলেজ দক্ষিণ গেট এলাকার শিলা বেগম পিচ্চি রাজার সাথে কথা বলছিল। রাজা কেন তুহিনকে ফাঁসালো-তা জানতে চেয়েছিলেন তুহিনের স্ত্রী আখি খাতুন। এ সময় তাকে মারধর শুরু করে। ভেতরে তুহিনকে গলাচেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে পিচ্চি রাজা। আখি খাতুন অভিযোগে বলেন-তার সাথে আসছিলেন শাশুড়ি হামিদা বেগম (৬৫), ভাগ্নে সূর্য (২২) ও মোঃ শিপন (২০) নামে বেশ কয়েকজন। তারা আমাকে কোনো রকম জীবন রক্ষা করেছে-অভিযোগ আখি খাতুনের।
এ ঘটনায় তিনি কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত সময়ে (রাত আটটা) অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
প্রসঙ্গ, চলতি বছরের (৮ মার্চ) রাত সোয়া ৯টার টার দিকে বাড়ির সামনের বাবুর চায়ের দোকানের সামনে রমজান আলীকে খুন করে এমএম কলেজ রোড সংলগ্ন কলাবাগান এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মাদক ও অস্ত্র কারবারী চক্রের অন্যতম সদস্য ও কিশোর গ্যাংয়ের লিডার রাজা ওরফে পিচ্চি রাজাসহ একদল সন্ত্রাসী। পরে পিচ্চি রাজাকে গ্রেফতার করা হলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে। স্বীকারোক্তিতে হত্যায় তুহিন জড়িত বলে দাবি করে।