ঢাবি ও জাবিতে সংঘটিত মব জাস্টিস এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে। জুলাই বিপ্লবীদের “Bring Back Justice” কর্মসূচী পালন করেছে যশোর সাধারণ ছাত্র সমাজ আন্দোলন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে এ ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচিতে যোগ দেয় যশোরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপ্লবী ও সচেতন শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শিক্ষার্থী নূর ইসলাম বলেন, ‘আমরা ছাত্র আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম তারা ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দেশকে আমরা পুনরায় স্বাধীন করেছি। এই স্বাধীন দেশের সম্মান আমরা সবাই রক্ষা করার চেষ্টা করব। সমন্বয়কের পরিচয়ে কেউ যদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে, সে যত বড়ই সমন্বয়ক হোক না কেন, তাকে এ দেশের জনগণ ধরে বেঁধে ফেলবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি যশোর জেলার যারা সমন্বয়ক নাম নিয়ে কাজ করতেছে তারা বেশিরভাগই ছাত্রলীগের। আজকের যশোর জেলায় বৈষম্য বিরোধী একটা লীগ তৈরি হয়েছে। এই বৈষম্য বিরোধী লীগ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি এবং অর্থ উপার্জনের একটি উৎস তৈরি করে নিয়েছে। কোন সন্ত্রাসী বাংলাদেশের স্থান পাবে না সে যে দলেরই হোক না কেন তাকে আমরা শক্ত হাতে দমন করব। আমরা আগেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ছিলাম এবং সামনের দিনগুলতেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার থাকব।
কর্মসূচিতে আরেক শিক্ষার্থী মৌসুমী খাতুন বলেন, ‘আমাদের এক ভাই ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। আমরা জানি যে সে একজন মানসিক রোগী, তাকে খাবার দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের কাছে সব থেকে সম্মানে লাগার বিষয়, সে হত্যা হয়েছে আরো হত্যার শিকার হয়েছে ছাত্র সমাজের হাতে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে একজন জালাল নামের একজন সে ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক বলে আমরা জানতে পেরেছি। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়লেও তার দোসরা কিন্তু দেশ ছাড়েনি এবং এই ছাত্রলীগের নেতারা তারা ছাত্র সমাজকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে নানা রকম ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে আমরা চাই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন দলের রাজনৈতিক শাখা থাকবে না। এ হত্যাকান্ডের যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত বিচার করা হোক।’
কর্মসূচিতে ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন, নবীন ইসলাম,সাকিব হোসেন, সাদিক বিল্লাহ, কিরণ আহমেদ সহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।