যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের (২২৭) নির্বাচনে মামুনুর রশিদ বাচ্চু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোর্ত্তজা হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষ হলে বেশ কয়েক প্রার্থী আপত্তি জানায়। পরে নির্বাচন কমিশন ফের ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষণা করে।
শুক্রবার যশোর সরকারি সিটি কলেজে ভোট গ্রহণ হয়। আর শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়।
নির্বাচনে মামুনুর রশিদ বাচ্চু মিনার প্রতীকে দুই হাজার ৯৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী শাহেদ হোসেন জনি হেলিকপ্টার প্রতীকে দু’হাজার ৯৫ ভোট পেয়েছেন। সেলিম রেজা মিঠু ডালরেঞ্জে প্রতীকে এক হাজার ৬১৬ ভোট পেয়েছেন।
সহসভাপতির তিনটি পদে লড়েছেন সাতজন। এর মধ্যে রবিউল ইসলাম লবিন তিন হাজার ২৫২, আবু হাসান দু’হাজার ৯৩৪, রতন অধিকারী দুই হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রার্থী মারুফ হোসেন এক হাজার ৪০৫, আসাদুজ্জামান সুমন এক হাজার ৬০০, ষষ্ঠি দত্ত দ্ ুহাজার ১৮১, হাদিউজ্জামান ৭১৬ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনজন। এর মধ্যে মোর্ত্তজা হোসেন ফুটবল প্রতীকে চার হাজার ৪৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল ওয়াদুদ এক হাজার ৮০৯ ও ইমান আলী ২৪০ ভোট পেয়েছেন।
যুগ্ম সম্পাদকের একটি পদে লড়েছেন দুইজন। এর মধ্যে রবিউল ইসলাম মিন্টু গাজী মোরগ প্রতীকে দু’হাজার ৮০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ পদে মিজানুর রহমান মিজু একতারা প্রতীকে দুই হাজার ৬৯৫ ভোট পেয়েছেন।
সহ সাধারণ সম্পাদকের দু’টি পদে লড়েছেন সাতজন। এদের মধ্যে হারুনার রশিদ ফুলু মাইক প্রতীকে দু’হাজার ৮৬৫ ও কামরুল ইসলাম হাতুড়ী প্রতীকে দুই হাজার ৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে কাবিবুর রহমান টুটুল বালতি প্রতীক নিয়ে ৩১৯, মুজিবুর রহমান সরদার হাঁস প্রতীকে একহাজার ৭৬২, রকিবুল হাসান ডাবলু তালা প্রতীকে এক হাজার ২৬২, রফিকুল ইসলাম ময়ূর প্রতীকে ৩৮১, সেলিম রেজা মোমবাতি প্রতীকে ৭১২ ভোট পেয়েছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদকের একটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দু’জন। এ পদে কোদাল প্রতীকের টিপু সুলতান দুই হজার ৮১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াজ উদ্দীন দু’ হাজার ৫৬০ ভোট পেয়েছেন।
প্রচার সম্পাদকের একটি পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে ঠেলা গাড়ি প্রতীকে আব্দুর রহমান মিন্টু এক হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রাজ্জাক উট প্রতীকে এক হাজার ৩৯৪, কুলা প্রতীকে জাহাঙ্গীর হোসেন ৯৬০, খেজুর গাছ প্রতীকে আব্দুর রহিম খাঁ বাবু ৮২৯ ও তীর ধনুক প্রতীকে শেখ নন্টু ২৭৪ ভোট পেয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে হাতি প্রতীকে কামাল হোসেন দুই হাজার ১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। শহিদুল ইসলাম স্লাইরেঞ্জ প্রতীকে এক হাজার ৯৮৩ ও নজরুল ইসলাম টেবিল ফ্যান প্রতীকে এক হাজার ৪৬২ ভোট পেয়েছেন।
কার্যকরী সদস্যের ছয়টি পদে ২৯জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে রবিউল ইসলাম আম প্রতীকে এক হাজার ৮৬৯, মোহাম্মদ আলী কাস্তে প্রতীকে এক হাজার ৪৮৪, তরিকুল ইসলাম ছাতা প্রতীকে এক হাজার ৩৫৩, আব্দুর রউফ পাঞ্জা প্রতীকে এক হাজার ৩৩৫, শহিদুজ্জামান হরিন প্রতীকে এক হাজার ২৫৯, জাহাঙ্গীর হোসেন এক হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।