যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ায় এক হিজড়ার মালামাল ও নগদ অর্থ হরিলুট করে হরিলুট কারীরা ভোজের আয়োজন করেছে। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে তাবৎ এলাকায়।
জানা যায়, রেলগেট পশ্চিমপাড়ায় গোলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৌ হিজড়া গত ১লা ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেছে। এরপর এলাকার একটি সুযোগ সন্ধানী মহল তার যাবতীয় মালামাল, নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার প্রকাশ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। মৌ এর স্বজনদের এক টাকার মালামাল বা এক কানা কড়িও দেওয়া হয়নি। ভাগাভাগি করে মালামাল আত্মসাত যাকে এলাকাবাসি হরিলুট বলছে তা টাকার পরিমানে অন্তত ১০ লাখ টাকা বা আরো বেশি।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ ডিসেম্বর মৌ হিজড়ার সকল মালামাল ভাগাভাগি করে তা আত্মসাত করেছে অন্তত সাতজনের একটি চক্র।
বেনাপোলের শাহজাহানের বৌ রেলগেট পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা খোদে একাই ৩৫ টি মূল্যবান কাশ্মীরি শাল নিয়েছে। ওই শালের মূল্য সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা।
এছাড়া, একই এলাকার মৃত অলি মোহাম্মদের মেয়ে আয়নালের সাবেক বৌ, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার চিন্নিত সুদে কারবারি রোজিনা চার জোড়া স্বর্ণের দুল, ১টি মোটা স্বর্ণের চেইন, ২টি স্বর্ণের আংটি, ২টি স্বর্ণের নাকফুল, ২ ভরি ওজনের দুটি স্বর্ণের রুলি নিয়ে আত্মসাত করেছে। এভাবে লুট ও সুদের করবারে দুটি আলিশান বাড়িসহ কোটি টাকার সম্পদ গড়েছে এই লোভী নারী রোজিনা। অর্থের দেমাগে এই পাষণ্ড বৌ তার স্বামী আয়নাল কেও তালাক দিয়ে আর এক নোংরামি প্রতিষ্ঠা করেছে।
অভিযোগ উঠেছে, যশোর সদর উপজেলার নতুনহাট মেঘলার সাবেক মাস্তান কিং কঙের সাবেক বৌ স্যাম ওই মালামাল সরাতে রোজিনাকে সহযোগিতা করেছে। স্যাম নগদ টাকা ও মালামাল আত্মসাত করেছে। অথচ স্যামের কাছে মৌ প্রায় অর্ধলাখ টাকা পাওনা রয়েছে। আফজালের সাবেক বৌ হাসিনার কাছেও মৌ উল্লেখযোগ্য পরিমান টাকা পাওনা রয়েছে।
গোলামের বৌ ফতে টেলিভিশন, ফ্রিজ, ১০ টি বিদেশী দামি কম্বল, ১০টি মূল্যবান নক্সিকাথা নিয়েছে।
এছাড়া জয়নাল ড্রাইভারের ছেলে কথিত বিএনপি কর্মী টগর ও সাগর নগদ টাকা ও মালামাল আত্মসাত করেছে।
জানা গেছে, মৌ হিজড়ার মালামাল হরিলুটকারীরা রেলগেটের কসাই কালুর দোকান থেকে ২০ কেজি মাংস বাকিতে নিয়ে রান্না করে ভোজের আয়োজন করে। আর তা সম্পন্ন হয় সুদে কারবারি রোজিনার বাড়িতে।
এলাকার মানুষ জানায়, মৌ হিজড়া এলাকার অনেকের কাছে টাকা পাবে। বাজারের ব্যাবসায়ীদের কাছেও তার প্রায় ৮/১০ লাখ টাকা মালের দাম পাওনা। কিন্ত কেউ পাওনা না দিয়ে উল্টো মৌ এর সম্পদ হাতিয়ে বা লুট করে নিয়েছে।
এদিকে বিএনপির লোকজন থেকে মৌ হিজড়ার মাল, টাকা, স্বর্ণালংকার ভাগাভাগি লুটপাট করেছে। স্থানীয় পর্যায়ে এই আলোচনা সমালোচনা ব্যাপক ভাবে হচ্ছে।
এ বিষয়ে এক বিএনপি নেতা বলেছেন, ব্যাক্তির অপরাধ বা কৃতকর্মের দায় দল নেবে না। কেননা দলের নীতি নির্ধারক তারেক জিয়া বা খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ আইকন বিএনপি নেতা অনিন্দ ইসলাম অমিত এসব বিষয়ে বারবার নেতা কর্মীদের সতর্ক করছে।