২৯ মে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের দিন ছিল। তবে আইনি জটিলতায় ছয় দিন আগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার যশোরের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এদিকে, প্রচারণার শেষ মুহূর্তে নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় হতাশ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ভোটাররা। ১৩ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দিনভর প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। তবে শুক্রবার (২৪ মে) দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। শহর থেকে গ্রামের অলিতে-গলিতে নেই প্রচার-প্রচারণার মাইকিং, জনসভা ও পথসভা। এতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ছন্দপতন ঘটেছে প্রার্থীদের। শুধু তাই নয়; তাদের নির্বাচনী ব্যয় বেড়ে যাবে। কর্মী সমর্থকদেরও নতুন করে চাঙ্গা করতে হবে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদ বলেন, বিধি অনুযায়ী নির্বাচন স্থগিত হলে সব কার্যক্রম স্থগিত হয়। তখন প্রচারণা চালানো যায় না। পোস্টার ও মাইকিং করাও নিষেধ। ফলে যশোর সদরে এখন কোন প্রার্থী প্রচারণা করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. শাহারুল ইসলাম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করলে ১৩ মে আদেশে তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে ইসি আপিল বিভাগে সিপিএলএ নং ১৭১৩/২২৪ দায়ের করলে ২০ মে আদেশে ‘নো-অর্ডার’ দেয়া হয়।
এমতাবস্থায় বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের এ আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সব পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত দেন।