পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের আরও ১১৯টি স্থাবর-অস্তাবর সম্পত্তি জব্দ (ক্রোক) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসসামছ জগলুল হোসেন দুদকের আরেকটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বেনজীরের সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেয়া হয়।
এদিকে, আগের আদেশে ৮৩টি সম্পত্তি জব্দ এবং ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন, দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম।
বেনজীরের আইনজীবী বলেছেন, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করায়, পারিবারিক ব্যয় মেটানো কঠিন হয়ে পড়বে বেনজীরের। দ্রুতই হাইকোর্টে আবেদন করবেন তারা।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে, তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।