যশোরের বাঘারপাড়ার খাজুরা বাজারে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে দোকানের মালামাল ও টাকা পয়সা লুটপাট, ভাংচুর এবং জবরদখলের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।
এ মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়ের ছেলে রাজিব রায়সহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার পার্বতীপুর গ্রামের ওলিয়ার রহমানের ছেলে সাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালার অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
অপর আসামিরা হলো, বাঘারপাড়ার তেলিধান্যপুড়া গ্রামের জাহাাব বক্সের ছেলে আব্দুল হামিদ ডাকু, অরবিন্দুর ছেলে লেল্টু, হালিম বিশ্বাসের ছেলে রুবেল, আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে মজনুর রহমান, লাল মিয়া চৌকিদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম, মথুরাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রিপন এবং ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের শশারপাড়া গ্রামের শিবুপদ সেনের ছেলে তাপস কুমার সেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, সাহাবুদ্দিনের পিতা ওলিয়ার রহমান খাজুরা বাজারে সরকারী খাস জমি ডিসিআর এর মাধ্যমে বন্দোবস্ত নিয়ে একটি সেমি পাকা দোকান ঘর তৈরী করে খেলা তিথি ঘর ও কসমেটিকস্ নামে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন। ২০২০ সাল থেকে শাহাবুদ্দিনের পিতাকে ওই দোকান থেকে উচ্ছেদের জন্য প্রধান আসামি রাজিব রায় বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। হুমকিতে কোন কাজ না হওয়ায় শাহাবুদ্দিনের নামে মিথ্যা সাজানো নাশকতা মামলা দিয়ে জেলহাজত খাটায়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে ওই আসামিরাসহ অপরিচিত ১৫ জন শাহাবুদ্দিনের পিতার যেয়ে পূর্বে দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা চায়। চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হলে খুন গুমসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে চলে যায়। ২৩ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে আবারও আসামিরা এসে শাহাবুদ্দিনকে মারপিট ও দোকানে থাকা ২০ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট ও দোকানের ক্যাশে থাকা আরও ৫ লাখ টাকাসহ তালা দিয়ে আসামিরা নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। আসামি রাজিব রায়ের পিতা সাবেক সংসদ সদস্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করিতে সাহস হয়নি।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।