বেনাপোলের চার নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি দ্বীন ইসলামকে হত্যা, গুম, বোমা হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।
সোমবার নিহতের ভাই আমীর আলী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন বেনপোল পোর্ট থানার ওসিকে।
আসামিরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার সাবেক এসআই সোহেল, এসআই শংকর, এসআই তৌফিক, কাগমারী আমড়াখালি গ্রামের মৃত নুর আলমের ছেলে রফিকুল ইসলাম, আবুল কালামের ছেলে রুবেল হোসেন, শাহ আলম ও তার ছেলে শাহিন, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে সাজু, মৃত আবুল খায়েরের ছেলে কবির হোসেন, মৃত সুন্দর আলীর ছেলে হোসেন আলী, আকবর আলীর দুই ছেলে হারুন ও হানিফ, হানিফের ছেলে সজল, গোলাম মোস্তফার ছেলে আরিফুল এবং মৃত নুর ইসলামের দুই ছেলে বিল্লাল হোসেন ও ইউসুফ।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে স্থানীয় দুটি পক্ষ দেশি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত নুর আলম মারা গেছেন বলে সংবাদ প্রচার করেন আসামিরা। এছাড়া বিএনপির ইন্ধনে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলেও প্রচারণা চালানো হয়।
গোলযোগ থেমে যাওয়ার পর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি দ্বীন ইসলাম বাড়ির সামনে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। তাকে উদ্ধার করতে যেয়ে আসামিদের দায়ের কোপে গুরুতর জখম হন ইব্রাহিম। এরপর আসামিরা আলী, সাদেক ও মুক্তারদের বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর, গরু, গহনা, ফ্রিজ, টিভি, আসবাবপত্র লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেন। বাড়ির লোকজন জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে যান। এ সুযোগে আসামিরা নিহত দ্বীন ইসলামের মরদেহ গুম করার উদ্দ্যেশ্যে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। এরমধ্যে নিখোঁজ দ্বীন ইসলামকে অনেক খোঁজাখুঁজির তিনদিন পর বাগানের মধ্যে থেকে মাটিচাপা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ সময় ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসলেও আসামিদের প্ররোচণায় ফিরে যান।
এ ঘটনায় ওই সময় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি এবং আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিলে আসামিদের ভয়ে মামলা করা যায়নি।