রাজধানীসহ সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। কোনো সাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না গ্রাহকরা। স্বল্প সময়ের জন্য সেই সাইটগুলোতে প্রবেশ করতে পারলেও করা যাচ্ছে না ব্রাউজ। এমনকি অন্যদের পোস্টে ক্লিক করে সেই বার্তা বা ছবি দেখতে পারছেন না তারা। শুধু তা-ই নয়, ফেসবুকের হালনাগাদ পোস্ট খুঁজে পেতেও সমস্যা হচ্ছে অনেকের। তবে সচল রয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সহিংসতার কারণে সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়। বুধবার (১৭ জুলাই) রাত থেকে একটি অপারেটরের শতভাগ ও অন্য অপারেটরগুলোর ৫০ শতাংশ বন্ধ করে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালের পর থেকেই দেশের প্রায় সব মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট ধীরগতিতে চলার পাশাপাশি ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছে। কখনো কখনো মোবাইল ডেটা ডিসকানেক্টেড দেখাচ্ছে। ফলে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লগইন করা যাচ্ছে না। ফোনে ইন্টারনেট সংযুক্ত দেখালেও প্রকৃতপক্ষে কাজ করছে না।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) জুন মাসের প্রতিবেন অনুযায়ী দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার। তাদের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ১১ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার এবং আইএসপি ও পিএসটিএন মিলিয়ে ১ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার।
সম্প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তবে প্রতিমন্ত্রী মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ইস্যু নিয়ে বলেন, সেটি বন্ধ করা নিয়ে কোন পূর্ব ঘোষণা ছিল না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিকে, মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।