সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে উচ্চ খেলাপি ঋণের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)। আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) দুই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) বৈঠকে একীভূত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্র পরিচালিত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, একীভূতকরণের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শিগগিরই একীভূতকরণের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে পারলেও কর্মী ছাঁটাইয়ের শঙ্কা থাকবে। কারণ, একই এলাকায় দুই ব্যাংকের দুটি শাখা থাকলে সেখানে একটি শাখা কমানো হবে। তখন ওই শাখার কর্মীরা কোথায় যাবেন? শুধু শাখা পর্যায়ে নয়, ব্যাংকের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারাতে পারেন।’
চাকরি হারাবেন এমডি-ডিএমডিরা, নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) চাকরি হারাবেন। এ ছাড়া একীভূত হওয়া দুই ব্যাংকের মধ্যে খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকের পরিচালক আগামী ৫ বছর অন্য কোনো ব্যাংকে পরিচালক হতে পারবেন না। তবে পাঁচ বছর পর আবার একীভূত হওয়া ব্যাংকের পর্ষদে ফিরতে পারবেন। যদিও এক্ষেত্রে তাদের কিছু শর্ত মানতে হবে। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, এ বিধানের মাধ্যমে সেসব পরিচালককে এক ধরনের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যাদের কারণে ব্যাংক খারাপ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পাঁচ বছর বিরতির পর তাদের আবার পর্ষদে ফেরার বন্দোবস্ত রাখা হলো।
এর আগে, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ইতোমধ্যে ব্যাংক দুটির মধ্যে এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।